ভারতে জন্ম সেখানকারই শিক্ষক, তবুও বাংলাদেশে পুশইন
একজন সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শুক্রবার রাতে জোর করে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর ঠেলে দিয়ে গেছে ভারতীয় পুলিশ।

আসামের মরিগাঁও জেলার একজন সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শুক্রবার রাতে জোর করে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর ঠেলে দিয়ে গেছে ভারতীয় পুলিশ। খায়রুল ইসলাম নামে ওই শিক্ষক অভিযোগ করেছেন যে, সোমবার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া ১৪ জনের মধ্যে তিনিও ছিলেন। বর্তমানে তিনি এবং বাকিরা দুই দেশের মাঝামাঝি নো ম্যানস ল্যান্ডে আছেন বলে জানা গেছে।
ভাইরাল একটি ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, খায়রুল ইসলাম বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার কোনও একটি মাঠে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি বাংলাদেশের এক সাংবাদিককে বলেন, “আমি আসাম পুলিশকে বলেছিলাম, আমি একজন শিক্ষক এবং আমাকে সম্মান করতে। কিন্তু আমার হাত চোরের মতো বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং আমাকে বাসের মধ্যে বসতে বাধ্য করা হয়েছিল। ভোর ৪টার দিকে, আমি এখানে পৌঁছাই। বিএসএফ মোট ১৪ জনকে বাংলাদেশে জোর করে ঠেলে দেয়।”
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামের থেংসালি খান্দাপুখুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত খায়রুল ইসলামকে ২০১৬ সালে একটি ট্রাইব্যুনাল বিদেশি ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে গৌহাটি হাইকোর্ট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর তাকে মাটিয়া ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি দুই বছর কাটিয়েছিলেন এবং ২০২০ সালের আগস্টে জামিনে মুক্তি পান।
সূত্র আমার দেশ অনলাইন।
What's Your Reaction?






